কার্বাপেনেম হলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত অত্যন্ত কার্যকরী অ্যান্টিবায়োটিক।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র-আইসিডিডিআরবি এ গবেষণা প্রকাশ করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহাখালী ক্যাম্পাসের সাসাকাওয়া মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মোকাবেলা : আর্চ গবেষণার ফলাফল’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ গবেষণা প্রকাশ করা হয়।
সেমিনারে আইসিডিডিআরবির অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) গবেষণা ইউনিটের প্রধান ও সহযোগী বিজ্ঞানী ড. ফাহমিদা চৌধুরী ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং দ্য টাস্ক ফোর্স ফর গ্লোবাল হেলথ (টিএফজিএইচ)-এর অর্থায়নে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল ইউনিটের সহায়তায় পরিচালিত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ইন কমিউনিটিজ অ্যান্ড হসপিটালস (আর্চ) গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ভর্তি হওয়া নবজাতকদের ৮১ শতাংশের শরীরে (মোট ৪২৩ জনের মধ্যে ৩৪২ জন) কার্বাপেনেম-প্রতিরোধী ক্ল্যাবসিয়েলা নিউমোনি (সিআর-কেপিএন) জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের আইসিইউ-তে ৬০ শতাংশ রোগীর দেহে সিআরই ছিল এবং কলোনাইজড রোগীদের সংক্রমণ হওয়ার ও হাসপাতালে দীর্ঘ সময় থাকার সম্ভাবনা বেশি ছিল।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুর জীবনে প্রথম বছরের মধ্যেই সিআরই এবং প্রায় ৯০ শতাংশের মধ্যে ইএসসিআরইই-এর কলোনাইজেশন বা উপস্থিতি ছিল। যেসব শিশু জন্মের পর ৭২ ঘণ্টার বেশি হাসপাতালে ছিল, তাদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি ছিল। এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই এই শিশুদের ৮০ শতাংশেরও বেশি অন্তত একবার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেছে, যা তাদের শরীরের স্বাভাবিক জীবাণুর উপস্থিতিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

